বাক্‌ ১১৫ ।। নীলাব্জ চক্রবর্তী-র কবিতা




শরীরে চলে যাওয়া দীর্ঘ বাক্যগুলো

মাংসের বাগানে আমরা হাঁটি
হ্যালো বলি
জানলা নামিয়ে ফেলি বৃষ্টির ভেতর শক্ত হয়ে
মুঠোয় যে অভ্যেস ওঠে
যে ব্যবহারবিদ্যায় ক্রমে ভারী হয়ে
শরীরে চলে যাওয়া দীর্ঘ বাক্যগুলো দ্যাখে
গ্লোবের এক নরম অর্ধেক
ডুবে যাচ্ছে
ভাঙা হরফের গুঁড়োয়
লিপ-টু-লিপ
একটাই সুর বাজার কথা
যখন যোনি ঝাড়তে ঝাড়তে
উঠে আসছেন প্রাচীন হাইওয়ে বরাবর
ভাবতে থাকুন
আরও একটু এগোক কবিতাটা...





স্নাফ মিল স্ট্রীট

আয়নাখোর একটা সময়
সিঁড়ি দিয়ে
পৌত্তলিক হয়ে উঠছে
রাস্তা
যোনি
পাতা ঝরছে
থেকে থেকে
বসে থাকার ভঙ্গি ঝরছে
থিরু ভাল্লুভার সালাই থেকে
একটাই সি-শার্প ওয়েদার
স্নাফ মিল স্ট্রিট অবধি
ভাষার ভেতর অনেকটা জিভ
প্রস্তুত হয়
দ্যাখে
বোতলের মুখ খোলা পেয়ে শব্দগুলো বেরিয়ে যাচ্ছে...





থিওরির বাইরে

থিওরির বাইরে গিয়ে দেখি
লেখা হচ্ছে
আর তুমি ঘর করছো আমাকে
ঋতু ঘষতে ঘষতে
দরজায় আর কিছুতেই আঁটছে না
তবু
স্মৃতির ওপর স্মৃতি চ’ড়ে বসছে
আরও হালকা হয়ে যাচ্ছে ক্রনোলজি শব্দটা
সেতু আঁকার দিনে
ভুল ক’রে
খিদের ভেতর ঢুকে যাচ্ছি
জ্বরগায়ে পুরনো নামের ভেতর ঢুকে যাচ্ছি...






অস্পষ্টতা

ক্যামেরার থেকেও স্লো
একটা মোশান
প্রতিটি প্যাকিং বাক্সের গায়ে
একটাই নম্বর
লিখে দিচ্ছে
এই অ্যাবসার্ডিটির ভেতর
লিফট যেখানে থামবে
সেখানেই হয়তো একটা শোওয়ার ঘর
টিপের পাশে টিপ
কয়েনের পাশে কয়েন
এইসব অস্পষ্টতা ভালবাসে
শুয়ে থাকতে থাকতে
ঘন হয়
দাড়ি কামানোর সরঞ্জামের মধ্যে বিকেল




মুখোশ

মুখোশের উল্টোদিকেও মুখোশ
আর সমস্ত অক্ষর জুড়ে গলতে থাকা
কেমন একটা ভারী দিন
যখন লাল থেকে নীল ক্রিয়া ধীরে তুলে নেওয়ার পর
টেবিলে টেবিল ভাগ হচ্ছে
অস্থিরতা বিষয়ক কয়েকটা কবিতা ছাড়া
দু’হাতে কিছুই ছিল না অথচ
ছুরি  >>  টুকরো স্মৃতি  >>  কাঁটা  >>  গরাদভাবনা
ঋণের ব্যাপারে আমি যা যা জানি
পাথর ফুরিয়ে যাওয়া অভিজ্ঞতায়
ততদূর রোদ বসলে চশমায়
ক্রমশ এইসব জলবায়ু
ব্যবহারের ভেতর পতনশীল হয়ে ওঠে
মাছ আঁকতে আঁকতে ফুলে যাওয়া
বাসি জানলায় বসে লজ্জায়
আমি তার স্নায়ু
অপেক্ষায় রঙ করছি দূর থেকে এই বন্যাবিধ্বস্ত দিন




                                                          (চিত্রঋণ : জাঁ লুক গোদার)

No comments:

Post a Comment