বাক্‌ ১১৫ ।। উপল বড়ুয়া




ঘৃণা তুমি অচ্যুত আদিম সুবাস

আমরা এনেছি কাম আর বাতাবী লেবুর ঘ্রাণ রসালো কিসমিস
মিহি বাতাসের ধারণা; বাস্তুসঙ্গের দিন; বসন্তের বিচিত্র তন্তু
লালখুরের ঘোড়া ছিল এক; মনে করো আজ অশ্বচালনার দিন
ধুলি উড়িলে স্মৃতিতে রাখো ধীরে, মরুঝড় মরুঝড়নাসান্ধ্রে।

প্রপিতামহছিলেন আমার কথার কারবারি জনকফুলের দেশে
আলোস্বর ভাঙার দিনে পরিয়ে দিতেন দিব্যতা হাতটানা ধনুকে
ঘামে টানা রথ নিয়ে আসে সভ্যতা আর আমরা জেনেছি রূপ
চৈত্রশাসিত ক্রিমের দিন ঘৃণা তুমি ছিলে অচ্যুত আদিম সুবাস।

জ্ঞান ছিল গান ছিল; কাঁধের তৈলাক্ত বিষফোঁড়া ছিল দ্বান্দিক
বাতাসের তুমুল হাহাকারে এক পাগল সন্ধাকে ডাকতোনিরর্থ
আমরা জেনেছিপাথর ক্ষয়ে যায়; ক্রিয়াপদ ও ধুলির গুরুত্ব
আমরা জানি নাই কিছু, পায়েদের ব্যবধানে সত্য আদতে স্মৃতি।



হুমায়রা

কোথাও চলে যাব ভাবতে ভাবতে তোমার দিকে হুমায়রা
নির্ঘুম চোখ নিয়ে মাতাল ড্রাইভার আমি থামিয়েছি চাকা।
রোদ ছিল আমাদের কাঁধে; দীর্ঘশ্বাসেরও ছিল প্রাচীন বদনাম
জানি না ঢের কিছু শুধু ঠোঁট খুলতেই উঠে আসে তোর নাম।
কোথাও আমি গিয়েছিলাম কোথাও চলে যাব পুনর্বার এই ভেবে
হুমায়রাআমাদের স্মৃতি আজ ব্যস্ত রাস্তায় নিঃশব্দে গেছে দেবে।

জেনেছি প্রেম প্রভূত বিষাদময়; কাছাকাছি থেকে ফিরে যাওয়ার ভয়
কেমন আজ চুপচাপ গ্রাস করে জিমি পেজের গীটারের মতো গোঙায়।
আমার কেবল ফিরে যাওয়া; গলা ছেঁড়া গান আর আটাশের শরীর
ভেঙে যায় ত্রাস ও লজ্জায় তোমার লতানো দেহে কিশমিশ ও ক্ষীর। 

আমাদের কথার ভাঁজে কেন আজ উঠে আসে ব্যারেট ও কিথ মুন
আমরা বন্ধু-প্রেমিকা না তুমুল রকার আমাদের নিয়ে আজ ভাবুন।


হাওয়াই গীটার

এই সারমর্মে বাতাস সকল ফিরে আসবে পাতাদের দিকে। জীবন যেহেতু সঙ্গীত প্রধান। তোমরা যারা ভালবাসো গীটার আর উইডপৃথিবীর সবচেয়ে আদিম ঘ্রাণ তোমরাই পাবে প্রথমে। মনে রেখোহৃদয় বলতে আদতে বুঝানো হয়েছে পাখিদের গ্রাম। পালক ছিঁড়ে ফেললে জীবন কেমন সুস্বাদু ও লোভনীয় হয়ে উঠে তা নিশ্চয় জানো। তোমার দিকে খুনিগণ জিহ্বা তাক করার আগেই নিজেই নিজেকে পুড়িয়ে খেয়ো।

                                                (চিত্রঋণ : Faisel Laibi Sahi)

No comments:

Post a Comment