বাক্‌ ১১৫ ।। ১টা প্রকল্পভিত্তিক লেখা ।। রাণা বসু




ঘরটার দুপাশে দুটো প্যারালাল দরজা দুদিকে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুটো উদোম অসমবয়সী পুরুষ ওরা দেখতে চায় কীভাবে একটা -দুটো- তিনটে-….. - হাজার -লক্ষ শুক্রাণু কী পদ্ধতিতে ডিম্বানুর দিকে ধেয়ে যায় ওদের জঙ্ঘার পাশে ঝুলে আছে ভ্যালি অব ফ্লাওয়ার্সের আদি অকৃত্রিম বীচিযুগল, সাথে উন্নত যাদুদন্ড যা থেকে বেরিয়ে আসবে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি ড্যাঁরা মাছ সদৃশ শুক্রাণু তারপর তারা সমস্ত উল্লম্ব অনুভূমিক বাধা পেরিয়ে ছুটে যাবে বিন্দুসদৃশ ডিম্বানুর দিকে ঘটে যাবে নিষেক
১একটা ফুলগাছে ফল হবে
এক১টা ফলগাছে ফুল



জীবনের আলো আঁধারের রহস্য উদ্ঘাটিত হবে তাদের চোখের সামনে তারা অপেক্ষারত বিকেল পর্যন্ত তারা এইভাবে অপেক্ষা করল কারন, তারা মানুষের মিলনের সময়কাল হিসেবে বেছে নিয়েছে বিশুদ্ধ রঙ কালোকে
সন্ধ্যে নামতে বিলম্ব নেই বেশি তাদের প্রত্যেকের চারপাশে ছোট ছোট বাটি বসানো ওরা হস্তমৈথুনে মনোনিবেশ করল সন্ধ্যে নামল প্রায় দশমিনিট পর বেরিয়ে এল সেই কাক্ষিত তরল যা হাজার লক্ষ কোটি শুক্রাণুতে পরিপুষ্ট ওরা ধীরে ধীরে ভর্তি করল বাটিগুলো তারপর উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা করতে লাগল
ওরা তখন ঝিমিয়ে পড়েছে হাত-পা ছড়িয়ে বসে আছে দৈববাণীর অপেক্ষায় প্রায় ঘুম নেমে আসা চোখে ওদের কানে ক্ষীণ বেজে গেল দৈববাণী -- “ওঠো, জাগো, স্থাপন করো
ওরা উঠল এক ১টা বাটির তরল ১একজন মৃতদেহের ঊরুতে ঢেলে দিল তারপর অপেক্ষা করতে লাগল সেই সন্ধিক্ষণের সাক্ষী হবার গোটা ঘরটায় ১টা হালকা গোলাপী রঙের আলো ছড়িয়ে আছে ওদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সদাজাগ্রত কোথায় কোন মৃতদেহের ঊরু থেকে সেই তীব্র তরল মুক্তিবেগে ছুটে যাবে তাদের কাঙ্খিত জোড়ের উদ্দেশ্যে সন্ত্রস্ত ভীত চোখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ওরা বিরক্ত হয়ে উঠল ওরা পড়ে শুনে জেনেছে ফ্যাদা বেশিক্ষণ বাঁচে না

বয়সে তুলনামূলক বালক পুরুষটি বলল - এইজন্য পুরো প্রক্রিয়াটা কী ভিতরে সংঘটিত হয়? অন্যজন মুখে আঙুল দিয়ে বলল - চোপ্, গুদির ব্যাটা! নো কথা!

এই হঠাৎ আচরনে প্রথম পুরুষটি পুরো থম্ মেরে গেল একেবারে

অনেক রাতে মৃতদেহগুলি যখন শাদা ফ্যাকাশে হয়ে গ্যাছে, ওদের বীর্য মাথায় উঠে গ্যাছে, তখন ওরা পাগলের মত এক ১টা মৃতদেহকে ঘাড় ধরে তুলে বসিয়ে নাক মুখ চোখ কান মাই নাভি গুদে ঘষতে লাগল ওদের ঠাটানো শক্ত কাঠ



তারপর মৃতদেহগুলোকে শীর্ষাসনে স্থাপন করে আর ১বার করে ঢেলে দিল সেই অমৃতসুধা তরলটি তার ধর্ম মেনে নেমে চলল গহ্বরে আরও নীচে, গভীর থেকে গভীরতর স্থানে নেমে গেল মধ্যম অবস্থার পদার্থটি পৃথিবীর থেকেও বড় নক্ষত্রের মধ্যে ঘটে চলল ২ বিপরীত আধানের সংঘর্ষ আদতে গৃহযুদ্ধ শেষে গহ্বরের গভীরতম স্থানে পৌঁছে যাওয়া শুক্রাণুকে ৪পাশ থেকে ঘিরে ফেলা ডিম্বানু চাপ দিতে থাকে ক্রমশ
আলো না আসা এইস্থানে শুক্রানু বুঝতে পারে না কী করবে!
অবশেষে ঝোপ বুঝে খাপ খোলে ১ডিম্বানু পাতি বকরাক্ষসের মত শুক্রাণুটাকে জড়িয়ে ধরে চলে গেল এক খালি প্রকোষ্ঠে তারপর চলল ঝাড়াই মাড়াই সবশেষে ভীত স্থাপন যার ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠবে সমগ্র জীবজগৎ গড়ে উঠবে ইঁট কাঠ পাথর আসবাবপত্র মাটি -- এমনকি মহাকাশ-গ্রহ নক্ষত্রও ওরা ফিরে গেল রেখে গেল বীজ যার পরবর্তী নাম হবেপ্রকল্প



5 comments:

  1. পৃথিবীর থেকেও বড় নক্ষত্রের মধ্যে ঘটে চলল দুই বিপরীত আধানের সংঘর্ষ!!
    অভিব্যাক্তি ও অভিযোজন পরস্পর গড়ে উঠুক এভাবে।।

    ReplyDelete
  2. তুমি তোমার মত পারো।

    ReplyDelete