বাক্‌ ১১৫ ।। মাজুল হাসান




হুহু নির্জন

মানুষ তো সাইকেল ঠেলে আগুনও দেখতে যায়। দেখতে যায় বন্যা, মারী, অত্যাশ্চর্যফুল। হুহু রাত ও ফাঁকা রাস্তা মাড়িয়ে পৌঁছায় আরও হুহু নির্জনে। একলা কী ভাবে তখন? অতীত ঈগল, যবের ছড়ার পরে' তুমুল স্ফটিক? নিজের ভেতরে একলা ও ভয়ঙ্কর নির্জনকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে সে। সেইসাথে পুলকিত। যেমন: সাইকেল ঠেলে আগুন দেখতে গিয়ে মানুষ পোড়া গেরস্থের আর্তনাদে হতচকিত হয়ে পড়ে, নিজেকে ভাবে সৌভাগ্যবান; জলভাসীর কান্নায় কাঁদে, উঁকি দেয় জ্বালামুখে, জলে খোঁজে নিজেরই আবক্ষমূর্তি; বিপদে দুদ্দাড় চালায় কাঠের পা। কতদূর যেতে পারে ধুলো? কতদূর ধূলিধূসর? কে ঈর্ষাকে বাঁচিয়ে রাখেনির্জন প্রেম, হুহু দ্রোহ নাকি টলটলে জ্বলন্ত বিহবলতা? বিহ্বলতাখরা, বন্যা, মারী ছাড়িয়ে এক অত্যাশ্চার্য ফুল । মানুষ তার খড়িওঠা চিবুকে একমাত্র মালি...


নৃ

সম্পর্কের ভেতর হে ঝুম-মুকুল আমগাছ, তোমার উপর
লাফিয়ে পড়ে আকাশ। পড়িদ্রুততা, পত্রমন্থর, সু, নৃ
আমি ঘ্রাণে পাস, দৃষ্টিতে ক্ষীণ, কখনো হইনি কৃতকার্য

তবু স্কুলঘর৷ ফিরেঘুরে মেঘ৷ বিষণ্ন রোমশ চক-ডাস্টার...


                                                          (চিত্রঋণ : Maher Sabbar)

No comments:

Post a Comment